এ চুক্তির অধীনে কসমস ফাউন্ডেশন প্রাসঙ্গিক ক্ষেত্রে তার দক্ষতার ওপর ভিত্তি করে জাদুঘরে তাদের পরিষেবাগুলো সরবরাহ করবে, পাশাপাশি পারস্পরিক সম্মতিযুক্ত শর্তাদি হিসাবে প্রয়োজন অনুযায়ী আর্থিক সহায়তাও প্রদান করবে।
কসমস ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান এনায়েতউল্লাহ খান এ সমঝোতা স্মারকটি নিয়ে গভীর সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন।
তিনি বলেন, ‘সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করে দুটি সংস্থার মধ্যকার সম্পর্ককে আরও উচ্চতায় নিয়ে যেতে পেরে আমরা আনন্দিত। ডিজিটাল সামগ্রী রেকর্ডিং, সম্পাদনা এবং উপস্থাপনায় কসমস ফাউন্ডেশনের উচ্চ প্রযুক্তির সক্ষমতা রয়েছে।’
জাদুঘরের জন্য ফাউন্ডেশনের পূর্ণ সমর্থন দেয়ার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করে দিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘জাদুঘরের ব্যবহার এবং উপকারের জন্য আমরা আমাদের প্রযুক্তিগত সম্পদ দিতে ইচ্ছুক।’
আরও পড়ুন: গ্যালারি কসমসের আয়োজনে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে প্রথম ভার্চুয়াল প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত
সমঝোতা স্মারকটিতে পারস্পরিক সহযোগিতার বেশ কয়েকটি মূল ক্ষেত্র চিহ্নিত করা হয়েছে। এগুলো হলো- প্রথমত, জাদুঘরের বার্ষিক ‘লিবারেশন ডকফেষ্ট এবং ফিল্মফেস্ট’র ইভেন্টগুলোতে ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে আর্থিক এবং প্রযুক্তিগত সহায়তা প্রসার করা। দ্বিতীয়ত, ৩৬০ ডিগ্রি ডিজিটাল ক্যামেরা এবং প্রয়োজনীয় দক্ষতাসহ প্রো বোনো ভিত্তিতে জাদুঘরের ভার্চুয়াল ট্যুর পরিচালনা করতে ফাউন্ডেশন সমর্থন। তৃতীয়ত, বিভিন্ন শৈল্পিক এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজনের জন্য জাদুঘরে ফাউন্ডেশন সহায়তা প্রস্তাব। চতুর্থত, নিয়মিত উভয় পক্ষের সহযোগিতার নতুন ক্ষেত্রগুলো চিহ্নিত করার প্রতিশ্রুতি।
১৯৯৬ সালে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরটি প্রতিষ্ঠা করে মুক্তিযুদ্ধ মেমোরিয়াল ট্রাস্ট। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের গৌরবময় ইতিহাস সংগ্রহ, সংরক্ষণ ও উপস্থাপনে জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ একটি সংগঠন হিসাবে এটি পরে দেশে এবং বিদেশে অপ্রতিরোধ্য স্বীকৃতি অর্জন করেছে।
শিল্প ও সংস্কৃতির প্রচারে নিবেদিত একটি পরোপকারী সংস্থা হিসাবে ২০১৫ সালে যাত্রা শুরু করা কসমস ফাউন্ডেশন এখন বিখ্যাত থিঙ্ক-ট্যাঙ্ক হিসাবে আত্মপ্রকাশ করেছে যেটি বৈশ্বিক ও আঞ্চলিক পর্যায়ে গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন বিষয়ে আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞ এবং চিন্তাবিদদের নিয়ে সেমিনার এবং আলোচনা সভার আয়োজন করে।
কসমস ফাউন্ডেশনের উপদেষ্টা বোর্ডের অন্য সদস্যরা হলেন- স্লোভেনিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট ড. ড্যানিলো তুর্ক, যুক্তরাষ্ট্রের ইনস্টিটিউট ফর পিস’র ভাইস চেয়ারম্যান রাষ্ট্রদূত জর্জ এডওয়ার্ড মুজ, ভারতের সাবেক পররাষ্ট্র সচিব রাষ্ট্রদূত কৃষ্ণান শ্রীনীবাসন এবং ডেনভার বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্বেল স্কুল অব ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজের অধ্যাপক হায়দার এ খান।
কসমস ফাউন্ডেশনের প্রেসিডেন্ট হিসেবে রয়েছেন ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব সিঙ্গাপুরের ইনস্টিটিউট অব সাউথ এশিয়ান স্টাডিজের (আইএসএএস) মুখ্য গবেষণা ফেলো ড. ইফতেখার আহমেদ চৌধুরী।